Sangeet Books
স্বরূপানন্দ সঙ্গীত স্বরলিপি গ্ৰন্থ :
শ্রী শ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব সাধু হয়ে আশ্রমে বসে জীবন যাপন করবেন এ ধরনের পরিকল্পনা উনার বহু বিধ কর্মময় জীবনের ধারাবাহিক বাস্তবতার মধ্যে কখনও লক্ষ করা যায়নি। কর্মময় জীবনের মধ্য দিয়ে তিনি ছুটে বেড়িয়েছেন গ্রাম হতে শহর বন্দর দেশের সর্বস্থানে। যার ফলে উনার জীবন দশায় কর্ম ব্যস্ততার কারণে স্বরূপানন্দ সঙ্গীতের কোন স্বরলিপি গ্ৰন্থ বের করার সুযোগ পাননি। যার জন্য গান গুলির কোন নির্ধারিত সুরের স্বরলিপি পাওয়া না যাওয়ার কারণে গান গুলির সুরের কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় শিল্পীরা একই গান বিভিন্ন সুরে গেয়ে যাচ্ছেন। যা র্বতমান প্রজন্মের কাছে স্বরূপানন্দ সঙ্গীত সম্পর্কে ভুল বার্তা ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, শ্রী শ্রী বাবামনির সুরারোপিত স্বকণ্ঠে গীত গান গুলিকেও বিকৃত সুরে গাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া যে সব গানে শ্রী শ্রী বাবামনি নিজে সুর রাগ তাল উল্লেখ করে গানের উপরে লিখে দিয়েছেন সেই সব গান গুলি ও অন্য রকম করে বিভিন্ন সুরে শিল্পীরা গেয়ে যাচ্ছেন। যা একজন সুর- স্রষ্টা সঙ্গীত সাধক সঙ্গীতজ্ঞের প্রতিভাকে অবহেলা করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
১৯৯৫ ইং সনে বাংলাদেশ রহিমপুর অযাচক আশ্রম কতৃপক্ষের উদ্যোগে সঙ্গীত প্রেমীক বিশিষ্ট্ জনদের সমন্বয়ে গঠিত স্বরলিপি প্রনয়ন কমিটির মতামতের ভিত্তিতে কন্ঠ সঙ্গীত শিল্পী ও সঙ্গীত পরিচালক সুরকার শ্রী পরেশ চন্দ্র মহাশয়কে স্বরূপানন্দ সঙ্গীতের সুর ও স্বরলিপি করার জন্য পরামর্শ দেন। যার ফলে তখনকার সুর করা গান গুলির স্বরলিপি সহ তখনকার আরো কয়েক জন স্বরূপানন্দ সঙ্গীত শিল্পীর সুর করা গান গুলিও তিনি স্বরলিপি করে অযাচক আশ্রম রহিমপুরে মূল পান্ডুলিপি প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে আশ্রম থেকে স্বরূপানন্দ সঙ্গীত স্বরলিপি প্রথম খন্ড গ্ৰন্থ প্রকাশিত হয় এবং এই প্রথম স্বরূপানন্দ সঙ্গীত প্রেমীক ভক্তদের বহু দিনের চাহিদা পূরণ হয়। স্বরূপানন্দ সঙ্গীত স্বরলিপির এই গ্ৰন্থ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সঙ্গীত প্রেমী শ্রোতাদের কাছে গ্রহণ যোগ্য হওয়ার ফলশ্রুতিতে পরর্বতী সময়ে র্বতমানে স্বর্গীয় শ্রী সন্তোষ চন্দ্র রায় কতৃক দ্বিতীয় খন্ড স্বরূপানন্দ স্বরলিপি গ্ৰন্থ প্রকাশিত হয় এবং বর্তমানে পন্ডিত পরেশ চন্দ্র রায়ের সুরে স্বরলিপিকৃত তৃতীয় খন্ড প্রকাশের অপেক্ষায় প্রকৃয়াধীন আছে।