Raag and style used
স্বরূপানন্দ সঙ্গীতের সুর ও গায়কীর ঢং বা কাঠামো:
স্বামী স্বরূপানন্দজী নিজে যেহেতু এক জন ধ্রুপদী সঙ্গীত ঘরানার সঙ্গীত সাধক, সেহেতু ওনার কন্ঠের গান গুলি শুনলেই বোঝা যায় যে স্বরূপানন্দ সঙ্গীতের সুর ও গায়কীর ঢং বা কাঠামো কি ধরনের হবে। শ্রী শ্রী বাবামনির বানী নবযুগের নবীন বেদ অখণ্ড সংহিতায় একজন সঙ্গীত প্রেমী ভক্ত প্রশ্ন করলেন– আচ্ছা বাবামনি আমি কি ধরনের গান শিখব? উত্তরে শ্রী শ্রী বাবামনি বললেন–“গাইবি ত ধ্রুপদ গাইবি” (ধ্রুব, অর্থ সত্য, পদ, অর্থ রচনা) সঙ্গীতের ভাষায় পরম সত্য স্রষ্টাকে নিয়ে যে সব পদ গান রচনা করা হয় সে পদ বানী বা রচিত গান যখন আদি শুদ্ধ শ্রেণী ভুক্ত রাগ ও উচ্চতালঙ্গ সহযোগে লয়কারী সহযোগে গীত হয় তাহাই ধ্রুপদ। সেই অর্থে শ্রী শ্রী বাবামনির কিছু কিছু গান ধ্রুপদাঙ্গের পর্যায় পড়ে। তাছাড়া শ্রী শ্রী বাবামনি মন্দির সঙ্গীত গ্ৰন্থে কিছু গানের ওপরে ধ্রুপদাঙ্গের তালে গান লিখেছেন। যেমন-চৌতাল, আড়াচৌতাল, ধামার তাল, সুর ফাঁক তাল, ঝাপ তাল, উল্লেখিত তালের গান গুলি তৃতীয় খন্ড স্বরলিপি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। মন্দির সঙ্গীত গ্ৰন্থে অনেক গুলো গানের ওপরে শ্রী শ্রী বাবামনি রাগ ও তালের নাম উল্লেখ করে গেছেন। কারণ বাবামনির ইচ্ছা ছিল স্বরূপানন্দ সঙ্গীত গুলি রাগাশ্রয়ী সুরের আদলেই সুরারোপ হোক। এ প্রসঙ্গে আরো বলতে হয়- শ্রী শ্রী বাবামনির সব চেয়ে প্রান প্রিয় অনুষ্ঠান হলো সমবেত উপাসনা। উপাসনার মন্ত্র বানীর স্তোত্র সমুহে, যেমন আরতি স্তোত্রে উনার সবচেয়ে প্রিয় রাগ ভৈরবী তিন তালে সুরারোপ করে স্বকণ্ঠে গেয়েছেন ধ্রুপদাঙ্গের ঘরানায়। এতে কি মনে হয় না শ্রী শ্রী বাবামনি কোন ঘরানার সঙ্গীতের অনুসারী ছিলেন এবং উনার রচিত স্বরূপানন্দ সঙ্গীত গুলির সুর কি ধরনের হওয়া উচিত ? আশা করবো সকল সঙ্গীত প্রেমী শিল্পী ভাই বোনেরা উনার নির্দেশিত সুরের মর্যাদা রক্ষা করে সেই সুরে গানগুলো গাওয়ার চেষ্টা করবেন। স্বরূপানন্দজীর স্বকণ্ঠে গীত গানগুলো তৃতীয় খন্ডের স্বরলিপি গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।