General Info

স্বরূপানন্দ সঙ্গীতের উৎস ও তথ্য:
স্বরূপানন্দ সঙ্গীত -শ্রী শ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেব কতৃক রচিত সঙ্গীতকেই বলা হয় স্বরূপানন্দ সঙ্গীত।এই অনবদ্য অসাম্প্রদায়িক ভক্তি মূলক সঙ্গীত গুলি কবে কখন কোথায় লিখেছেন এর সঠিক কোন তারিখ বিষদ ভাবে উল্লেখ নেই। তবে স্বামীজীর বিভিন্ন গ্ৰন্থে এবং মাসিক পত্রিকা ও প্রতিধ্বনিতে প্রকাশিত হয়েছে যে সব গান, সেই সুত্রে উল্লেখিত গান গুলি থেকে যতটুকু জানা যায় স্বামী স্বরূপানন্দ জন্মগত সুত্রেই সঙ্গীত এর সুর লয় ও তালকে আশ্রয় করে এ পৃথিবীতে এসেছেন। তাই তিনি ছোট বেলা থেকেই গান করতেন এবং গান রচনা করে তাতে সুর দিয়ে স্বকণ্ঠে গেয়ে সবাই কে অবাক করে দিতেন। শিশু শিল্পী ও স্বভাব কবির কৈশোরে প্রথম সঙ্গীত রচনা করে সুর দিয়ে যে গান পরিবেশন করলেন–
১| মা কে পূজা করতে এসে
মায়ের পূজা হলো না আর
মায়ের পূজা হলো না রে।
২| ফুটা মা তোর সাধের কুসুম
মুকুল হয়ে আছি মা গো
চক্ষু জোড়া কেবলি ঘুম।।
ইত্যাদি গান গুলি রচনার মাধ্যমেই স্বরূপানন্দ সঙ্গীত গুলি কে বিশ্ববাসীর কল্যাণ কামর্নাথে নিবেদন করলেন। বর্তমানে পাচঁখানা সঙ্গীত গ্ৰন্থের গান গুলি ভক্তপ্রান সঙ্গীত প্রেমিকদের জন্য নিবেদিত হলো। ১|মন্দির ২|মূচ্ছনা ৩|মঙ্গল মুরলী ৪|মধু মল্লার ৫|মন্দার মালা এছাড়াও অনেক গান এখন ও অপ্রকাশিত রয়ে গেছে। তাই আনুমানিক দুই হাজারের মত গান তিনি রচনা করেছেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
স্বামীজীর গান লিখার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। প্রখর প্রতিভা ও স্মৃতি শক্তির অধিকারী তাঁর কৈশোর হতে যুবাবস্থা পর্যন্ত তানপুরা কে সঙ্গী করে সঙ্গীতের নিবিড় চর্চায় মনোনিবেশ করেন। গান লিখার জন্য আলাদা ভাবে পৃথক কোন সময় পেতেন না কার্য্যাপলক্ষে ঝড়েরবেগে ছুটে চলেছেন ভক্তদের আহ্বানে বিভিন্ন স্থানে, কখনো ট্রেন, কখনো লঞ্চে, কখনো নৌক করে অথবা পদব্রজে। হঠাৎ কোন সুর বা রাগ মাথায় এলো আর তখনি সেই সুরে পদ রচনা করে নিজের পকেটে রাখা যেকোনো কাগজের টুকরোতে লিখে ফেলতেন গান। আর তাহাই পরবর্তী সময়ে অনবদ্য সঙ্গীতাকারে মানুষের মন প্রাণ জয় করে নিত।